কেকে ১ জুন কলকাতায় একটি কলেজের অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন| অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন পরে তাকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়| CMRI হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়| ঘটনার পরেই শোকজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| পরদিন গান স্যালুট দিয়ে শেষ সম্মান জানানো হয় এই সুখ্যাত গায়ককে| যাঁকে আপানারা ভারতবাসী চেনেন কেকে নামে| মৃত্যুর পর আজ তাঁর প্রথম জন্মবার্ষিকী| ২৩ অগাস্ট তাঁকে চোখের জলে স্মরণ করছেন তার সঙ্গীতপ্রেমী|
১৯৬৮ সালের ২৩ অগাস্ট হিন্দু মালায়ালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কেকে। শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা সবকিছুই ছিল রাজধানী দিল্লির মাটিতে। দিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরি স্কুলে পড়াশোনা শুরু হয় কেকে’র। এরপরে স্কুল জীবনের পড়াশোনা শেষ করে প্রথমে দিল্লির কিরোরিমল কলেজ এবং তারপরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি কোর্স পাশ করেন।তিনি আনেক ডিগ্রি প্রাপ্ত করেছিলেন তিনি তবে ছোটবেলা থেকে তাঁর গানের প্রতি ঝোঁক ছিল সবচেয়ে বেশি। তারপর সেই নেশাকেই পেশা করে নিয়ে যাত্রা করেন বলিউডে।তারপর একের পর হিট গান|
কিন্ত বলিউড সফরটা খুব একটা সুখের হয়নি তাঁর।প্রথমে বলিউডে মেইন স্ট্রিম প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে কাজ করার আগে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জন্য প্রায় ৩,৫০০টি জিঙ্গেল গেয়েছিলেন কেকে। কেকে কোনওদিনও আনুষ্ঠানিকভাবে গানের তালিম না নিলেও তাঁর কন্ঠস্বরের ম্যাজিক সকলকে মুগ্ধ করে দিয়েছিল আজ তাই সে আমাদের মনে তার সঙ্গিতের ছাপ দিয়ে গিয়েছে। ১৯৯৯ সালে ‘পল’ অ্যালবাম দিয়ে তাঁর জয়যাত্রা শুরু। এরপরের কয়েক দশক বলিউডে একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন কেকে। বাংলা, হিন্দি, তামিল, কন্নড়, মারাঠি একাধিক ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছেন কেকে| তাকে আমরা চিরদিন মনে রাখব|