মাদ্রাজ ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এমডিআরএফ) টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কার্ডিও বিপাকীয় ঝুঁকির কারণগুলির উপর সুক্রোজের প্রভাব সম্পর্কে ভারতের প্রথম গবেষণা প্রকাশ করেছে। ভারতীয়দের মধ্যে কফি এবং চা-তে কৃত্রিম সুইটেনার সুক্রলোজ দিয়ে টেবিল চিনি (সুক্রোজ)-এর প্রভাব অন্বেষণ করার উদ্দেশ্যে, র্যান্ডমাইজ কন্ট্রোলড ট্রায়াল (আরসিটি) ১২ সপ্তাহ ধরে ১৭৯ জন ভারতীয়ের ওপরে T2D পরীক্ষা করেছে। গবেষণা অনুসারে, কফি এবং চায়ের মতো দৈনন্দিন পানীয়গুলিতে অল্প পরিমাণে সুক্র্যালোজ গ্লুকোজ বা HbA1c স্তরের মতো গ্লাইসেমিক মার্কারগুলি বিশেষ কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা। পাশাপাশি, জানা গিয়েছে এটি শরীরের ওজন (BW), কোমরের পরিধি (WC)এবং বডি মাস ইনডেক্স (BMI) -এর সামান্য বৃদ্ধি করে।
চা এবং কফিতে এনএনএস-এর প্রভাবের উপর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করা হয়েছে, কারণ ভারতের প্রচুর নাগরিকই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশই এই পানীয়গুলিতে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করে। উপরন্তু, ভারতের উচ্চ কার্বোহাইড্রেট ব্যবহার অনেক মাত্রায় বেশি, বিশেষ করে সাদা চাল বা পরিশোধিত গম, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল, হস্তক্ষেপ এবং নিয়ন্ত্রণ। হস্তক্ষেপ গ্রুপ সুক্রোজ দিয়ে কফি বা চায়ে চিনি প্রতিস্থাপন করে এবং নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ সুক্রোজের ব্যবহার চালিয়ে যায়, এবং গবেষণার শেষে, HbA1c মাত্রায় কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। এই গবেষণাটি ঠিক এমন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যখন ডাব্লুএইচও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে এনএনএস ব্যবহার করার করার ক্ষেত্রে সতর্ক বার্তা জারী করেছিল। সিনিয়র ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ড: ভি. মোহন, এমডিআরএফ-এর চেয়ারম্যান, যিনি গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন, জানিয়েছেন, “গবেষণায় প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের উল্লেখ করা হয়েছে, বিশেষ করে ভারতে, যেখানে চা এবং কফির মতো দৈনন্দিন পানীয়তে শর্করা প্রতিস্থাপন করতে প্রায়ই প্রাকৃতিক নিউট্রাসিউটিক্যালস (NNS) ব্যবহার করা হয়। এটি ক্যালোরি, চিনির পরিমাণ কমাতে এবং খাদ্যতালিকাগত সম্মতি বাড়ায়। যদিও, এখনও আমরাগ্রহণযোগ্য দৈনিক খাওয়ার (এডিআই) – এর মধ্যে সুক্রলোজের মতো এনএনএসের নিরাপদ ব্যবহারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি।”