কলকাতায় পুজো মণ্ডপকে সেফ হোম-এ রূপান্তরিত করল আটলান্টা ক্লাব

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কে বাংলা সহ গোটা দেশ। কী করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীরা। এরই মাঝে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল কলকাতার একটি পুজো কমিটি। নিজেদের পুজো মণ্ডপকে বানিয়ে ফেলেছে সেফ হোম। কলকাতার কোনও পুজো কমিটি তরফ থেকে এমন উদ্যোগ এই প্রথম, দাবি করেছে ওই পুজো কমিটি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক দিন আগে নবান্নে কলকাতার পুজো কমিটির আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের সাহায্য চান করোনা মোকাবিলায়। পুজো কমিটিরগুলি যাতে আরও উদ্যোগ নেন, সেই আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো কর্তারা সকলেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এরই মাঝে দক্ষিণ কলকাতার এই পুজো কমিটি নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। ওই ক্লাব হল আটলান্টা ক্লাব। আর তাদের উদ্যোগে হয় গল্ফ ক্লাব রোড দুর্গাপুজো। মূলত কলকাতা পুরসভার ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের লোকেদের করোনা আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসার জন্য ওই সেফ হোম খোলা হয়েছে। সেখানে ভেন্টিলেটর ছাড়া বাকি প্রায় সব ব্যবস্থাই রয়েছে।

মঙ্গলবার আটলান্টা ক্লাবের সম্পাদক, গল্ফ ক্লাব রোড দুর্গাপুজো কমিটির সহঃ সম্পাদক কুশল চট্টোপাধ্যায় জানান, এখন সেখানে ৯ জনের চিকিৎসা চলছে। কলকাতার প্রথম কোনও পুজো কমিটি নিজেদের পুজোমণ্ডপকে সেফ হোমে রূপান্তরিত করেছে। এমনই দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরও জানান, টালিগঞ্জ এলাকার কোভিড রোগীদের কাছে খাবার দিচ্ছেন তাঁরা। চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এই সেফ হোম। তার আগে ৭-৮ দিন লেগে গিয়েছিল সেটি তেরি করতে।

২০২০ সালে এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। তবে স্থানীয় মানুষের একাংশ আপত্তি জানান। এ ব্যাপারে তিনি জানান, যাঁরা আপত্তি জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে তিনি জানান, যাঁরা আপত্তি জানিয়েছিলেন, এবার তাঁরাই এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের দুর্গাপুজোর দালান স্থায়ী। তাকে ঘিরে গড়েই তোলা হয়েছে সেফ হোম। সেখানে বেড সংখ্যা আরও বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, রাজীব হরিহরণ বলেন, “সমস্ত ব্যয় রোটারি ক্লাব এবং আমাদের সদস্যরা বহন করছে, যাদের সংখ্যা প্রায় ৩৫০ এর বেশি। এছাড়াও, আমরা একমাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিদিন ১০০ টি কোভিড-১৯ রোগীকে প্রতিদিন বিনা মূল্যে খাওয়ার হোম-ডেলিভারি করে চলেছি যা ডন বসকো’র ১৯৮৮ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্পনসর করছে। মানুষ যদি এখন মানুষকে সাহায্য না করে, তবে কখন?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *