অভিনয় দেবের ফ্ল্যাটে জোরে জোরে বাজে গানবাজনা! এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রবীণ দম্পতি। তাদের অভিযোগ, বাড়িতে বসেই ব্যবসা করছেন তিনি। সেখানে তার একটি মিউজিক স্টুডিও রয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। হাইকোর্ট দেবের প্রতিবেশীকে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে যেতে বলেছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানাবেন পুরসভার লাইসেন্স বিভাগের প্রধান ব্যবস্থাপক।
দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনের বাসিন্দা দেব ওরফে সাংসদ দীপক অধিকারীর প্রতিবেশী নিকোলাস ওয়ারেন বার্ড এই মামলা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, একটি মিউজিক স্টুডিও থাকার কারণে দেবের ফ্ল্যাট থেকে গান-বাজনার শব্দ বের হয়। এতে তার অসুস্থ স্ত্রীর অসুবিধা হয়। হাউজিং কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে কাজ না হওয়ায় হাইকোর্টে যান নিকোলাস। গত বছর এ বিষয়ে পুরসভার অবস্থান জানতে চায় আদালত।
পৌর আইনজীবী শুভ্রাংশু পান্ডা আদালতকে বলেন, কেউ যদি তার বাড়িতে ছোট ব্যবসা চালায় তাহলে অনুমতি দেওয়া হয়। তাই দেবও লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তা ছাড়া পৌরসভার দায়িত্ব সীমিত। দেব আদালতকে জানিয়েছিলেন যে কারও অসুবিধার কারণ তৈরী করে কোনও ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলছে না।
অনেক আবাসনের তাদের নিজস্ব নিয়ম আছে। ওই আবাসনের জন্য অনুরূপ নিয়ম আছে। আবেদনকারীর অভিযোগ, আবাসন কর্তৃপক্ষ দেবকে এমন কোনো অনুমতি দেয়নি। তবে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি। প্রথমে, একক বেঞ্চ আবেদনকারীকে এই আবাসন ইস্যুতে সিটি সিভিল কোর্টের কাছে যেতে বলে। পরে ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি কলকাতা পুরসভার লাইসেন্স বিভাগে স্থানান্তর করে। পুরসভা সূত্রে খবর, এ নিয়ে আলোচনা করা হয়ে গেছে। শিগগিরই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।
আবেদনকারীর আইনজীবী পার্থসারথি দেববর্মণ বলেন, “বাসস্থানে কোনোভাবেই ব্যবসা করা যাবে না। পৌরসভার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। এরপর বিষয়টি নিয়ে আবারও হাইকোর্টে মামলা করব।”