ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা লেখক সুরেশ বৈদ্যর কন্যা ছিলেন জলাবালা। তিনি তাঁর কেরিয়ারের শুরুটা সাংবাদিক হিসেবে করেছিলেন। দিল্লির একাধিক জাতীয় সংবাদমাধ্যম, ম্যাগাজিনে কাজ করেছেন তিনি। সঙ্গীত নাটক আকাদেমির টেগোর পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে দিল্লি নাট্য সংঘ অ্যাওয়ার্ড, অন্ধ্র প্রদেশ নাট্য আকাদেমি সম্মান, আমেরিকার বাল্তিমোরের সম্মানিক সিটিজেনশিপ পেয়েছিলেন তিনি আজীবন পারফর্মিং আর্টস নিয়ে কাজ করার জন্য। ১৯৬৮ সালে তাঁর থিয়েটারের কেরিয়ার শুরু হয় ফুল সার্কেলের নামক এক নাটকের হাত ধরে। সেখানে কিছু কবিতা এবং গল্পকে তুলে ধরা হয়েছিল।
তাঁর এই নাটকটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় সেটার প্রথম ইউরোপিয়ান ট্যুরে। রয়েল শেক্সপিয়র থিয়েটারস ওয়ার্ল্ড থিয়েটার সিজনের জন্য গোপাল শর্মন রামায়ণের উপর ভিত্তি করে নাটকটি লিখেছিলেন। এখানে ২৫তো চরিত্র ছিল যা জলাবালা একাই অভিনয় করেছিলেন। আমেরিকা, রাষ্ট্রসঙ্ঘের হেডকোয়ার্টার, ভারতের বিভিন্ন শহর সহ একাধিক জায়গায় এই নাটকটি প্রদর্শিত হয়। দেশে, বিদেশের বহু খবরের কাগজে তখন এই নাটক নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলে। তিনি পরবর্তীকালে গোপাল শর্মনের সঙ্গে অক্ষরা ন্যাশনাল ক্ল্যাসিকাল থিয়েটার চালু করেন। এটা ধীরে ধীরে থিয়েটার পারফরমেন্সের একটা আঁতুড়ঘর হিসেবে গড়ে ওঠে।
২০টির বেশী নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এর মধ্যে আছে ফুল সার্কেল, দ্য রামায়ণ, দ্য ভগবত গীতা, গীতাঞ্জলি, কাবুলিওয়ালা, ইত্যাদি। তিনি একাধিক নাটকে পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।