সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এক ছবি প্রজাপতি, কিন্তু ছবি মুক্তির পর থেকেই বিভিন্ন বিতর্ক এই ছবিকে কেন্দ্র করে। ছবির দুই নায়ক রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভিন্ন মেরুতে রয়েছেন। তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় ভিন্ন হওয়ায় তার মাসুল দিতে হচ্ছে দু’জনকেই। তাই মিঠুন চক্রবর্তী এবং দেব অভিনীত ‘প্রজাপতি’ ছবিটি ‘নন্দন’ প্রেক্ষাগৃহে স্থান পায়নি প্রদর্শিত হওয়ার জন্য। সমালোচকদের এমনটাই দাবি। যদিও তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গোটা বিষয়টি নিয়ে বেশ হতাশ তৃণমূল সাংসদ তথা এই ছবির অন্যতম অভিনেতা দেব। ইতিমধ্যেই তিনি বিষয়টি নিয়ে ইঙ্গিত পূর্ণ টুইট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন,”এবারের জন্য তোমায় মিস করব নন্দন। কোনও সমস্যা নেই। ফের দেখা হবে আগামীতে।” অন্যদিকে বিজেপি বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা বিষয়টি নিয়ে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সরকারকে।
মিঠুন একটা সময় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পরেই তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে মিঠুন-দেব অভিনীত ‘প্রজাপতি’ ছবিটি। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, এই ছবিতে মিঠুনের অভিনয় অত্যন্ত দুর্বল বলে ছবিটি নাকি চলছে না। দেব ভাল অভিনয় করলেও মিঠুনের অভিনয় নাকি খুবই খারাপ হয়েছে, এমনটাই দাবি কুণালের। এভাবেই ‘প্রজাপতি’ ছবিটি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক এখন তুঙ্গে।