ফিরে এলো পাঁচ বছর আগের মামলা৷ এ বার ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ পানামা পেপার মামলায় অভিষেক ঘরনীকে দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ প্রসঙ্গত, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ছাড়াও অভিষেক বচ্চন ও অমিতাভ বচ্চনের বিরুদ্ধে পাঁচ বছর আগে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট’ বা ফেমা আইনে তদন্ত শুরু হয়েছিল৷ ওই আইনেই এদিন ঐশ্বর্যকে তলব করা হয়৷ যদিও তিনি আজ ইডি’র দফতরে যাচ্ছেন না বলে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন ঐশ্বর্য৷
এটাই প্রথম নয়৷ এর আগেও দু’বার বিশ্ব সুন্দরীকে তলব করেছিল ইডি৷ তবে দু’বারই অ্যাডজার্নমেন্টের আবেদন করেছিলেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ৷ বিদেশে প্রচুর সম্পদ রাখার জন্যই ঐশ্বর্যকে তলব৷ পানামা পেপারে নাম থাকার জন্যই পাক আদালতের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রির পদ থেকে সরতে হয়েছিল নওয়াজ শরিফকে। পানামা পেপারসের উপর নজর ছিল কেন্দ্রেরও৷ অমিতাভ বচ্চন-সহ বেশ কিছু বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে তদন্তের কথাও জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ফাঁস হয় পানামা পেপারস। এর মধ্যে রয়েছে ১ কোটি ১৫ লক্ষ গোপন নথি৷ বিভিন্ন দেশের মানুষ যাঁরা বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি গচ্ছিত রেখেছেন, তা হিসেব নিকেষ জানিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল৷ এই নথিগুলির মধ্যে বেশ কিছু আবার ১৯৭০ এর দশকের। এই নথি তৈরি করেছিল পানামার একটি ল ফার্ম এবং কর্পোরেট সংস্থা মোসাক ফনসেকা৷ পানামা পেপারের দ্বিতীয় দফার তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই আরও নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র৷
প্রথম পর্যায়ের প্রকাশিত পানামা পেপারস তথ্যের ভিত্তিতে ৭৪টি মামলা করে তদন্ত শুরু করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যে ৬২টি মামলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। এবং ১১৪০ কোটি টাকার অঘোষিত সম্পত্তি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় কেন্দ্রের সরকার। তবে এর পর পানামা পেপার মামলা নিয়ে বিশেষ খবর কানে আসেনি৷ সোমবার পানামা পেপার কাণ্ডে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে তলব করল ইডি৷