অশোক লেল্যান্ডকে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল মডিউল দিল টিকেএম

‘ইলেক্ট্রিফায়েড’ ও অন্যান্য ‘গ্রিন ভেহিকেল টেকনোলজি’র পথিকৃৎ টয়োটা কির্লোস্কর মোটর কার্বন নির্গমণ হ্রাসের লক্ষ্যে বিদ্যুৎচালিত ও ‘অল্টারনেট ফুয়েল ভেহিকেল’ নির্মাণের ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে। বিশ্বজুড়ে টয়োটার লক্ষ্য হল ২০৫০ সালের মধ্যে ‘কার্বন নিউট্রালিটি’ অর্জন করা এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং অপারেশনস’-এর ক্ষেত্রে ‘নেট কার্বন জিরো’ অর্জন করা। ফুয়েল সেল ইলেক্ট্রিক ভেহিকেলগুলি হাইড্রোজেন-চালিত যা হল প্রকৃত অর্থে ‘ক্লিনেস্ট ফুয়েল’। ব্যাটারির থেকে হাইড্রোজেনের ‘এনার্জি ডেন্সিটি’ অনেক বেশি, সেজন্য একে এক ‘এক্সেলেন্ট এনার্জি ক্যারিয়ার’ হিসেবে নানাধরণের কাজে ব্যবহার করা যায়।

ভারতে কার্বন নিঃস্বরণের মাত্রা হ্রাসের লক্ষ্য অর্জনে হাইড্রোজেন বড় মাপের ভূমিকা নিতে পারে। ‘হাইড্রোজেন ফুয়েল-সেল মডিউল’ বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘এনার্জি সোর্স’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।টয়োটা কির্লোস্কর মোটর (টিকেএম) জানাচ্ছে, অশোক লেল্যান্ডকে এক ইউনিট ফুয়েল-সেল মডিউল সরবরাহ করা হয়েছে যাতে তারা ভারতে ‘প্রোটো এগজামিনেশন’ ও ‘ফিসিবিলিটি টেস্ট’-এর জন্য হাইড্রোজেন ফুয়েল-সেল কমার্সিয়াল ভেহিকেল নির্মাণ করতে পারে।


টয়োটার হাইড্রোজেন ফুয়েল-সেল নির্ভর টেকনোলজি চিরাচরিত ‘ফসিল ফুয়েলের’ উপর নির্ভরতা দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে, ‘রিনিউয়েবল এনার্জি’ তৈরি করবে, ‘এনার্জি সেলফ-রিলায়েন্স’ অর্জনে সহায়তা করবে ও ‘কার্বন এমিশন’ হ্রাস করবে।টয়োটা কির্লোস্কর মোটরের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও চিফ কমার্সিয়াল অফিসার সুদীপ এস দলভি এবং অশোক লেল্যান্ডের চিফ টেকনোলজি অফিসার ড. এন সরবানন টয়োটার ফুয়েল-সেল মডিউল সিস্টেমের ভূমিকার প্রতি তাদের দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বক্তব্য রেখেছেন।

By Business Correspondent

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *