‘বাজার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল রোহণ বিনোদ মেহরার। কিন্তু তাঁকে আর বড়পর্দায় দেখা যায়নি। পাঁচ বছর পর আবার পর্দায় ফিরলেন তিনি। তাঁকে ডিজনি-হটস্টার-এর ওয়েবসিরিজ ‘কালা’-তে দেখা গেল । এই দীর্ঘ ব্যবধানের প্রসঙ্গে রোহণ বলেন, ‘বাজার ছবির পর আমাকে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখানে দারুণ অভিনেতারা রয়েছেন। আমাকে আবার গোড়া থেকে শুরু করতে হয়েছিল। অনেক অডিশন দিয়েছি। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাল ছাড়িনি। আমি মনেপ্রাণে শুধু অভিনয়ই করতে চেয়েছি।’ ওটিটির হাত ধরে অভিনয় জগতে প্রত্যাবর্তন হল রোহণের। তিনি বলেন, ‘ওটিটি আমাদের সকলের জন্য অনেক বড় উপহার। আমাদের মতো অভিনেতারা এখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছে। তবে এখন প্রতিযোগিতাও অনেক বেড়ে গিয়েছে। এখন কাজ পাওয়া সহজ কিন্তু নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা এখন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।’
বিজয় নাম্বিয়ার পরিচালিত ‘কালা’ ওয়েব সিরিজে রোহণকে এক বাঙালি আর্মি অফিসারের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। নিজের অভিনীত চরিত্রের প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘আমার চরিত্রটা অত্যন্ত জটিল ছিল। তবে বিজয় স্যর অভিনেতাদের উপর আস্থা রাখেন। ওঁর জন্যই নিজের সেরাটা দিতে পেরেছি।’ রোহণ জানান, সত্যজিৎ রায়ের কারণে ভারতীয় ছবির প্রেমে পড়েছেন তিনি। ‘আমি বাংলা ছবির বড় ভক্ত। নায়ক আমার অত্যন্ত প্রিয় ছবি। অপুর সংসার তো আছেই। জলসাঘর দারুণ লাগে। আর ওঁর ছবি দেখতে দেখতে আমি বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছি,’ বলছিলেন তিনি।
‘রোহণ বিনোদ মেহরা’— এই নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে রোহণের অন্য এক পরিচয়। তিনি প্রয়াত বলিউড অভিনেতা বিনোদ মেহরার পুত্র।‘মেহরা’ পদবি তাঁকে ইন্ডাস্ট্রিতে কতটা সাহায্য করেছে? রোহণের জবাব, ‘৩২ বছর হল বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আমার মনে হয় না যে, আজকের প্রজন্ম ওঁকে চেনে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ওঁর ঐতিহ্যকে আমি বহন করতে চাই।’