মেলবোর্ন: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই বিতর্কে জড়ান বিরাট কোহলি । দিনের খেলা শেষ হতে না হতেই তাঁর শাস্তিও পেলেন ভারতীয় তারকা। কোহলির ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত বেতনের ২০ শতাংশ তো কাটা গেলই, পাশাপাশি তাঁকে এক ডিমেরিট পয়েন্টও দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি, এমনটাই একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু কেন বিরাটকে শাস্তির মুখে পড়তে হল? ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের দশম ওভারের পর। দিক বদলের সময় বিরাট কোহলি ও স্যাম কনস্টাসের ধাক্কা লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই মাঝ পিচে দুইজন দুইজনের দিকে ফিরে তাকান। কোহলিকে কিছু বলতে শোনা যায়, পাল্টা দেন কনস্টাস। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে মাঠে আম্পায়ার এবং উসমান খাওয়াজাকে মধ্যস্থতা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। পরবর্তীতে রিপ্লেতে দেখা যায় যে কনস্টাস সোজা পথে এগোলেও, কোহলি বরং অপরপ্রান্ত থেকে আসার সময় নিজের পথ পরিবর্তন করেন এবং খানিকটা ইচ্ছাকৃতভাবে গিয়েই তরুণ তুর্কিকে কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মারেন। গোটা ঘটনার ভিডিও এখন ভাইরাল।
এই ঘটনার পরেই দিনের খেলাশেষে কোহলিকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট ডেকে পাঠান বলে খবর। খুব বেশিক্ষণ নয়, মাত্র মিনিট দশেক মতো ম্যাচ রেফারির ঘরে ছিলেন কোহলি। তারপরেই একাধিক রিপোর্টে তাঁর শাস্তির খবর প্রকাশিত হয়। আর্টিকেল ২.১২ অনুযায়ী ক্রিকেটে এ ধরনের শারীরিক ধাক্কাধাক্কি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই স্বাভাবিকভাবেই সকলেই মনে করছিলেন গোটা ঘটনায় বিরাটের শাস্তি হতে পারে। তারকা ক্রিকেটার এই ঘটনায় নির্বাসন এড়াতে পারলেও, শাস্তি এড়াতে পারলেন না। তবে গোটা বিষয়টিকে হালকাভাবেই নিয়েছেন কনস্টাস, যার প্রিয় ক্রিকেটার নাম বিরাট কোহলি। তিনি দ্বিতীয় সেশনে সাক্ষাৎকারে জানান, ‘আমার মনে হয় আমরা দুইজনেই আবেগতাড়িত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি নিজের দস্তানা ঠিক করছিলাম এবং তখনই কাঁধে ধাক্কা লাগে। প্রথমে বিষয়টা বুঝতেই পারিনি আমি। তবে ঠিক আছে ক্রিকেটে এগুলি তো হয়েই থাকে।’ আইসিসির শাস্তি তো বটেই, ১৯ বছরের কনস্টাসের সঙ্গে ৩৬ বছরের বিরাটের এহেন কর্মকাণ্ডে কিন্তু ভারতীয় তারকাকে প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন প্রাক্তনীরাও। গোটা বিষয়টা অনভিপ্রেত ছিল বলেই মনে করছেন সকলে।