পিঙ্কি জানিয়েছেন, কোনও দরদাম হয়নি তাঁদের খোরপোশ নিয়ে, যা চেয়েছিলেন তাই পেয়েছেন। ব্যাপারটা মিটেও গিয়েছে। পিঙ্কি অতীতের দিকে আর ফিরে তাকাতে চান না। সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চান। কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের বিয়ে নিয়ে যেমন চতুর্দিকে চলছে সমালোচনা। সাধারণের মনে এক প্রশ্ন ক্রমশ মাথা চাড়া দিচ্ছে ঠিক একই সঙ্গে। কাঞ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরপাড়ার বিধায়কের কাছ থেকে বিচ্ছেদের সময় ৫৬ লক্ষ টাকা খোরপোশ নিয়েছেন। অনেকেই পিঙ্কিকে প্রশ্ন করেছেন, ‘আপনি তো স্বাবলম্বী তাও কেন এত টাকা নিতে হল?” এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন পিঙ্কি।
পিঙ্কি বলেন, “টাকার অঙ্কটা আমি প্রথম থেকেই লুকোইনি। কেউ কেউ বলছিলেন আমি নাকি কোটি টাকা পেয়েছি, মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে সবটা তুলে ধরা দরকার বলে আমার মনে হয়েছে । আর নেব নাই বা কেন? বিয়ে তো একটা কনট্র্যাক্ট। আইনেই বলা আছে সেটা কেউ ভাঙলে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। আমি তো আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করিনি। ছেলের কাস্টডি বাবা চাননি, ও আমার কাছেই আছে, থাকবে। এই সময় দাঁড়িয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পিছনে কত খরচ হয়, তা কি কেউ জানেন না? আর তা ছাড়া এমনই টাকা বলা হয়েছিল ওঁকে, যা উনি দিতে পারবেন। যারা বলছেন আমি স্বাবলম্বী তাও কেন পয়সা নিয়েছি, তাঁদেরকে বলছি, আমি তো দিনের শেষে শিল্পী, আজ আমার কাজ আছে, এর পরের ছয় মাস নাও থাকতে পারে। তাই সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা কেন আমি করব না?”