শিয়ালদা আদালত সম্প্রতি পাঁচ বছরের পুরনো একটি জালিয়াতির মামলায় অভিনেত্রী জারিন খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এই ঘটনায় আলোচনায় আসেন জেরিন খান। অবশেষে ১২ লাখ টাকার আর্থিক জালিয়াতির মামলায় স্বস্তি পেলেন জারিন। সোমবার যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে জারিন খানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করে আদালত।
কিন্তু এবার নিজের বিপদ কাটিয়ে উঠলেন অভিনেত্রী। মামলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
জারিনের আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, জারিন খানের প্রতারণার মামলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছেন।
আইনজীবী বলেছেন, “তদন্তকারী অফিসারের ইচ্ছাকৃত কাজের কারণে আমার জারিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, তাই ভারতীয় দণ্ডবিধির (১৮৬০)-এর ১৬৬ এবং ১৬৬-এ -এর অধীনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করা ছাড়া আমার আর কোনও উপায় নেই।
এই দুটি ধারায় আইন অমান্যকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
জারিনের আইনজীবী আরও বলেন, “আমার মক্কেলের পক্ষে, আমি জনসাধারণকে জানাতে চাই যে শিয়ালদা দায়রা আদালতের বিচারক আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে ‘ওয়ারেন্ট’ জারি করেছেন, কারণ তদন্তকারী অফিসার শ্রী দিলীপ যাদব তার সামনে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি পেশ করেছিলেন৷ সঠিক তথ্য ও ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে বিচারক তদনুসারে একটি ইন্টারলোকিউটরি রায় দেন।আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আদালত বাতিল করেছেন।এমনকি কলকাতা হাইকোর্টও আমার মক্কেলের পক্ষে আদেশ জারি করেছে।’
২০১৮ সালে দায়ের করা একটি জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত জারিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। অভিযোগ অনুসারে, জারিনের ৬টি কালী পূজায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল, যার জন্য অভিনেত্রী আয়োজকদের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি জারিন। পাঁচ বছরের পুরনো মামলায় আবারও বিপাকে পড়েন জারিন।