বুধবার সকালে বলিউডের ঘুম ভাঙল এক দুঃসংবাদে। আবারও অভিনয় জগতে ইন্দ্রপতন৷ অবসান হলো একটি যুগের। শোকার্ত হয়ে উঠলো গোটা বলিউড সহ কুমার পরিবারে। না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিনেতা। বুধবার সকালে সকলকে ছেড়ে চির বিদায় নিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার৷ শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার কারণে গত এক বছর ধরে একাধিক বার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল৷ শেষবার ভর্তি হন গত বুধবার৷ আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর৷ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর৷ কিংবদন্তি অভিনেতার প্রয়ানে শোকের ছায়া গোটা দেশে। কোভিড আবহে পুলিশের অনুমতিতে শুধুমাত্র জনা কয়েক ঘনিষ্ঠরাই উপস্থিত হতে পারবেন অভিনেতার শেষকৃত্যে।
গোটা বিশ্বে তাঁর অগণিত অনুরাগী। প্রবাদ প্রতিম অভিনেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ সহ একাধিক নেতৃত্ব৷ শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভারতীয় চলচ্চিত্র দিলীপ কুমারের অবদানের জন্য চিরঋণী হয়ে থাকবে। শোকপ্রকাশের মাঝে সেকথাও উল্লেখ করলেন অমিতাভ বচ্চন, গৌতম ঘোষ-সহ আরও অনেকে। প্রসঙ্গত, পাঁচ দশকেরও বেশি দীর্ঘ কেরিয়ারে ৬৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলীপ কুমার। চল্লিশের দশকে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেতা। ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ সিনেমার হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি: মুঘল -এ,- আজম, গঙ্গা-যমুনা, দেবদাস, শবনম, মুসাফির, মধুমতী, সাগিনা মাহাতো, ক্রান্তি ইত্যাদি।’ দিলীপ কুমার ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘পদ্মভূষণ’, ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’, ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড’-সহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৬৬ সালে নিজের থেকে ২২ বছরের ছোট সায়রা বানুকে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার৷ বয়সের ফারাক থাকলেও তাঁদের সম্পর্কে তার ছাপ পড়েনি৷