সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর ক্রমশই যেন রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে অভিনেতার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এবং তাঁকে আত্মহত্যা করার বিষয়ে প্ররোচনা দেওয়ার মতো মারাত্মক সব অভিযোগ উঠেছে।
আজ (সোমবার) ফের একবার অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তীকেও। সুশান্ত সিং রাজপুতের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। এর আগে শনিবার তাঁর ইডির দফতের আসার কথা থাকলেও তিনি সেই সমন উপেক্ষা করেছিলেন। সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্তের নেমে ৩ জনকেই সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুশান্ত সিং রাজপুত প্রতিষ্ঠিত দুটি সংস্থার ডিরেক্টারের পদেও রয়েছেন রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, এবং বাবা ইন্দ্রজিত্ চক্রবর্তী। সুশান্তের আরও দুটি কোম্পানিও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সেই চারটি কোম্পানি সম্পর্কেও তথ্য জানতে চায় ইডি। সুশান্তের সঙ্গে পরিচয়ের পর কীভাবে গোটা চক্রবর্তী পরিবারের আয় এবং ব্যায় একলাফে বেড়ে গিয়েছিল, সেটাও রয়েছে ইডির নজরে। অন্যদিকে মুম্বইয়ের খার এলাকাস্থিত রিয়ার একটি সম্পত্তিও নজরে রয়েছে ইডির। ইডি সূত্রে খবর, রিয়া জানিয়েছেন ৮৪ লক্ষ টাকার এই সম্পত্তি কিনেছেন তিনি।
শুক্রবার প্রায় ৯ ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়ে রিয়া চক্রবর্তীকে। এরপর শনিবার ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হয় নায়িকার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে। টানা ১৮ ঘন্টা ধরে জেরা করা হয় শৌভিককে। শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ইডির বালার্ড এস্টেট এলাকাস্থিত দফতরে হাজির হয়েছিলেন শৌভিক,সারারাত ধরে জেরা চলে তাঁর। রবিবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে যান শৌভিক।
আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন আওতায় আগেই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে রিয়া, শৌভিক এবং অভিনেত্রীর বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদী ও চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্ট রীতেশ শাহের।