অ্যামন্ডস এমন একটি খাদ্য যা সম্ভবত বিশ্বের যে কোনও ডায়েট/ স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় পাওয়া যায়। বাদামের রাজা অ্যামন্ডসের অনন্য পুষ্টির সংমিশ্রণ প্রতিদিনের ডায়েটে যোগ করা একটি দুর্দান্ত সংযোজন। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য এটি খুবই উপকারী। ম্যাক্স হেলথকেয়ার দিল্লি’র আঞ্চলিক প্রধান – ডায়েটেটিক্স, ঋতিকা সমাদ্দারের মতে ডায়েটে অ্যামন্ডস যোগ করার অনেক গুরুত্ব আছে। অ্যামন্ডস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। দৈনিক অ্যামন্ডস খাওয়া টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নতি ঘটায়। অ্যামন্ডস খাবারের সাথে যোগ করলে মোট এবং এলডিএল কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে। ড. সীমা গুলাতি (পিএইচডি)-র নেতৃত্বে অনুরূপ গবেষণায় আরও প্রমাণিত হয়েছে যে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হিসাবে অ্যামন্ডস খাওয়া টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ভারতীয়দের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
অ্যামন্ডস হার্টের জটিলতার সাথে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করে ও ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগের জটিলতা প্রতিরোধে ফলদায়ক ভূমিকা পালন করে। ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের অর্থায়নে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যামন্ডসের মতো, বাদাম খাওয়া, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ অ্যামন্ডস মেটাবলিজম উন্নতি করে। হার্ভার্ডের গবেষণায় আরও জানা যায়, অ্যামন্ডসের উপকারী প্রভাব টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়তা করে।