করোনাভাইরাস মহামারির মতো জীবন ও জীবিকাবিধ্বংসী আর কোনো বৈশ্বিক মহামারি যাতে ভবিষ্যতে না হয়, তা ঠেকানোর লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা গ্রহণের ঘোষণা চূড়ান্ত করেছেন শিল্পোন্নত সাতটি দেশের জোট জি–৭–এর নেতারা। তবে জাতিসংঘ মহাসচিব টিকা উৎপাদন দ্বিগুণ করে তার ন্যায্যতাভিত্তিক বিতরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রান্ত কর্নওয়ালের কারবিস খাঁড়িতে জোটের শীর্ষ সম্মেলনের এই ঘোষণাকে কারবিস বে ডিক্লারেশন অন হেলথ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় রয়েছে রোগনির্ণয়, চিকিৎসা এবং টিকা উদ্ভাবন ও অনুমোদনের সময়সীমা ১০০ দিনের মধ্যে নামিয়ে আনা, সম্ভাব্য সংক্রামক রোগের আবির্ভাবের ওপর নজরদারির জন্য বৈশ্বিক নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করা, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সক্ষমতা বাড়ানো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কার এবং তাকে শক্তিশালী করা। ঘোষণাপত্রে সংক্রামক রোগের ওপর নজরদারির এই ব্যবস্থাকে ‘প্যানডেমিক রাডার’ বলে অভিহিত করা হয়। প্রাণিবাহিত রোগের সংক্রমণ মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ার আগেই যাতে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, সে জন্য যুক্তরাজ্যের পিরব্রাইট ইনস্টিটিউটে একটি পশুর টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার কথাও এই ঘোষণায় রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করবে যুক্তরাজ্য সরকার এবং মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস ফাউন্ডেশন।