সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অপমৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওঠা নেপোটিজম বা স্বজনপোষণের অভিযোগ গড়াল আদালত পর্যন্ত। অভিযোগ উঠেছিল, ছ’মাসে সাতটি ছবি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল সদ্যপ্রয়াত অভিনেতার হাত থেকে। এই অভিযোগে বিহারের মুজফফরপুরের আদালতে মামলা দায়ের হল বলিউডের চার তারকা— সলমন খান, কর্ণ জোহর, সঞ্জয় লীলা ভন্সালী, একতা কপূরের বিরুদ্ধে। আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা এই চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯, ১০৬, ৫০৪ ও ৫০৬ ধারা অনুসারে মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই আইনজীবীর দাবি, সুশান্তের কাছ থেকে শুধু সাতটি ছবি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাই-ই নয়, তাঁর একাধিক ছবি আজও মুক্তি পায়নি। এই সমস্ত ঘটনার চাপ দিনের দিনের পর দিন নিতে পারেননি মাত্র ৩৪ বছরের অভিনেতা। এবং এই ঘটনাগুলিই তাঁকে আত্মহননের মতো চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে।
একই বিষয় নিতে সম্প্রতি টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম। তিনিও একই প্রশ্ন তুলেছেন, সুশান্তের মতো প্রতিভার হাত থেকে কী করে সাতটি ছবি চলে যায়! বলিউডের আসল চেহারা কি এতটাই ভয়াবহ?
এই অভিযোগ আরও একবার উঠে এসেছে পরিচালক অভিনব কাশ্যপের জবানিতে। তিনি চাঁছাছোলা ভাষায় জানিয়েছেন, তাঁর কেরিয়ারও শেষ করতে উঠেপড়ে লেগেছিল খান পরিবার। প্রায়ই হুমকি ফোনে শুনতে হত, তিনি যেন কোনও বিষয়ে মুখ না খোলেন। তিনি যেন নেপথ্যে থাকেন। বহু কাজ এক সময় তাঁর হাত থেকেও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
এর পরেই নাম করে তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে বুঝতে পারিনি, এ সবের পেছনে হাত রয়েছে সেলিম, সলমন, সোহেল, আরবাজ খানের। জানার পরেই হতবাক! পরে আরও জানতে পারি, এঁদের আসল শক্তি মাফিয়া দুনিয়া। যাদের সঙ্গে এঁদের নিত্য ওঠাবসা। তার জেরেই খান ব্রাদার্স ইচ্ছেমতো রাজত্ব চালান বলিউডে।’’ অভিনব-র সংযোজন, তিনি সুশান্তের মতো হেরে যেতে রাজি নন। এর শেষ দেখে তবে ছাড়বেন।