পাওয়া গেল সুশান্তের ৫টি ডায়েরি, ঘনিষ্ঠদের সমন পাঠাবে প্রশাসন

তিনদিন পরেও জট কাটল না সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অপমৃত্যুর। ময়না তদন্ত এবং ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী, গলায় ফাঁস দেওয়ায় শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পাশাপাশি, পোশাগত শত্রুতাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না মহারাষ্ট্র প্রশাসন। যেহেতু ছয় মাসে ৭টি ছবি তাঁর হাত থেকে চলে গেছে।

অবসাদ না কাজের অভাব, দুইয়ের সাঁড়াশি চাপেই কি মাত্র ৩৪-এ ফুরিয়ে গেলেন প্রতিভাবান অভিনেতা? উত্তর খুঁজতে সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে ৫টি ডায়েরি হেফাজতে নিয়েছে মুম্বই পুলিশ। যা পড়ে জানার চেষ্টা চলছে, শেষ দিকে কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন ‘কাই পো চে’ অভিনেতা।

সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর কল লিস্ট। শেষ ১০ দিন অভিনেতা যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তাঁদের তালিকা বানাচ্ছে প্রশাসন। খুব শিগগিরিই জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডাকা হবে তাঁদের বলে জানা গেছে। যদিও ইতিমধ্যই পুলিশ রেকর্ড করেছে অভিনেতার শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’র পরিচালক মুকেশ ছাবরা, ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিকাশ গুপ্তা এবং বাঙালি প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বয়ান।

মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিনেতার ভাই এবং পটনার বিজেপি বিধায়ক নীরজ কুমার সিংহ ইতিমধ্যেই সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যায় না পেশাগত চাপের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন। সমস্ত সংবাদমাধ্যম এবং নীরজের বক্তব্য পুর্নবিবেচনার নির্দেশ টুইটে দিয়ে বিষয়টিতে মান্যতা দেওয়ার পরেই এই পুলিশি পদক্ষেপ, ধারণা সুশান্তের ঘনিষ্ঠ মহলের।

বুধবার অভিনেতার অবসাদের জন্য স্বজনপোষণকে দোষী করে বিহারের মজফফরপুর জেলা আদালতে বলিউডের চার তারকা সলমন খান, কর্ণ জোহর, একতা কপূর, সঞ্জয় লীলা ভনশালীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা।

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই আইনজীবীর দাবি, সুশান্তের কাছ থেকে শুধু সাতটি ছবি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাই-ই নয়, তাঁর একাধিক ছবি আজও মুক্তি পায়নি। এই সমস্ত ঘটনার চাপ দিনের দিনের পর দিন নিতে পারেননি মাত্র ৩৪ বছরের অভিনেতা। এবং এই ঘটনাগুলিই তাঁকে আত্মহননের মতো চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে।

একই বিষয় নিতে সম্প্রতি টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম। তিনিও একই প্রশ্ন তুলেছেন, সুশান্তের মতো প্রতিভার হাত থেকে কী করে সাতটি ছবি চলে যায়! বলিউডের আসল চেহারা কি এতটাই ভয়াবহ?

By editor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *