ফ্ল্যাট অভিনেত্রীর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল, সেই সঙ্গে মৃত্যুর ঠিক আগে হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস রহস্য ঘনীভূত করেছে। জনপ্রিয় ভোজপুরি অভিনেত্রী অমৃতা পাণ্ডে অন্নপূর্ণাকে বিহারের ভাগলপুরে তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হলো। রিপোর্ট অনুযায়ী, দিব্যাধাম অ্যাপার্টমেন্টে শাড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ পাওয়া যায়। পরে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
তবে কোনও সুইসাইড নোট না পাওয়া গেলেও মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রহস্যজনক পোস্ট লিখে যান। এই বার্তার মধ্যেই তাঁর মৃত্যুর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছে পুলিস। তিনি বিহারের ভাগলপুরে এক বিয়েবাড়িতে এসেছিলেন। রিপোর্ট জানাচ্ছে, বিয়েবাড়ি কেটে গেলেও সেখানে এই ভোজপুরি অভিনেত্রীর কিছু দিন থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
মৃত্যুর দিন নিজের হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘ওর জীবন দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছিল। আমি আমার জীবনের নৌকা ডুবিয়ে ওর সফর সহজ করে দিয়ে গেলাম।’ পরিবার-বন্ধুরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই নায়িকা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার জন্যে নিয়মিত চিকিৎসার মধ্যেও ছিলেন তিনি। ভোজপুরি অভিনেত্রীর মৃত্যুকে প্রাথমিকভাবে পুলিস আত্মহত্যা বলেই চিহ্নিত করছে। পুলিসের অনুমান দীর্ঘদিনের অবসাদ থেকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে বলে ।
২০২২ সালে অমৃতা, ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের বাসিন্দা চন্দ্রমণি ঝাঙ্গাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। এই দম্পতি মুম্বইয়ে একসঙ্গে থাকতেন। তারা তাঁর বড় বোন বীনা পাণ্ডের বিয়েতে ভাগলপুরে এসেছিলেন। উৎসবের পর, চন্দ্রমণি মুম্বই ফিরে যান এবং কিছুদিন থাকার সিদ্ধান্ত নেন অমৃতা। প্রসঙ্গত, অমৃতা পাণ্ডে ভোজপুরি সুপারস্টার খেসারি লাল যাদবের সঙ্গে দিওয়ানাপন ছবিতে কাজ করেছিলেন। জোগসার থানা পুলিস বর্তমানে এই হাই-প্রোফাইল মামলাটি তদন্ত শুরু করেছে।