মিমি চক্রবর্তী বলেন,” ছোট শহরের মেয়ে আমি। এমন জায়গা থেকে যেখানে মেয়েদের পড়াশোনা, নাচ-গান, বাইরের কোনো কাজ করাকে আসে পাশে লোক পছন্দ করে না। এই গড়পড়তা ঘোরাঘুরিতে আমার সেই ছোট থেকেই দম বন্ধ হয়ে আসত। মা -বাবাকে সব সময় কথা শুনতে হতো। ছোট থেকেই আমি ভাবতাম জীবনে কিছু করতে হবে , দাঁড়াতে হবে।”
“সেই পথের খোঁজেই কলকাতা শহরে আসা। শহরের ঝাঁ-চকচকে দিকগুলো আমাকে টেনেছিল। আমার কলকাতায় পড়তে আসার ইচ্ছা ছিল কিন্তু মা না করে দেয় খরচের কথা ভেবে আর লোক জনের কথা ভেবে। কিন্তু আমার জেদের কারণে আমাকে আসতে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাও আমার নানান শর্ত চাপানো হয়। তারপর বাবার হাত ধরে কলকাতা আসি।”
ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কাজ ধারাবাহিকে। নাম ‘চ্যাম্পিয়ন’। কাজের মাদ্ধমে নতুন নতুন মুখের সাথে পরিচয় হয়। অনেক সমস্যা স্মুখীন হয়ে আজ আমি নিজের একটা জায়গা তৈরী করতে পেরেছি। এখন ম্যানেজার বাউন্সার সব থাকে তাই কোনো অসুবিধা হয় না।এটাও বলেন,টলিউডে টাকা কম জানি। তাই বলে নিশ্চয়ই দু’লাখ টাকায় কাজ করব না।কাজ নিয়ে থাকি। কম কাজ করি। লিখি। বই পড়ি। আমি জানি, বাবা-মায়ের পরে আমার তো কেউ নেই। জীবন একার… এ আমার অভিযোগ নয়, এ আমার শান্তি।