মহানায়ককে নিয়ে উত্তেজনা এবং কৌতূহলের শেষ নেই বাঙালিদের মনে। তিনি সারাদিন কী কী করতেন। কীভাবে তিনি জীবন কাটিয়েছেন। এমনকি বাঙালিদের মনে তার ফুলশয্যা নিয়েও উত্তেজনার শেষ নেই, এই নিয়েও রয়েছে বহু আগ্রহ, কৌতূহল। জানলে অবাক হবেন উত্তমকুমার নিজের ঘরের জানলা, দরজা খুলে ফুলশয্যা করতে চেয়েছিলেন।
উত্তমকুমার বড় হয়েছেন কলকাতার ভবানীপুরে। কৈশোরের প্রেম গৌরীকেই তিনি বিয়ে করেছিলেন। খুব কম বয়েসেই বিয়ে হয়েছিল। তবে ফুলশয্যার দিন ঘটেছিল এক অদ্ভুদ কাণ্ড। ‘আমার দাদা উত্তমকুমার’ বই লিখেছিলেন উত্তমের ভাই তরুণকুমার। সেখানে মহানায়কের বহু গল্পের সাথে সাথে ফুলশয্য়ার ঘটনাও উল্লেখ্য করেছিলেন। মহানায়কের ফুলশয্যার দিন নাকি তাদের এক বউদি এবং ননদ ফুলশয্যার ঘরে ট্রাঙ্কের পিছনে সবটা দেখবে বলে চুপিসারে বসে ছিল। সবটা টের পেয়ে যায় মহানায়ক। বউদি এবং তাঁর ননদকে বের করতে একটা কাঁচের গ্লাস ভেঙ্গে দেন। বলে ওঠে “তোমরা পারো বটে, নাও জানালা-দরজা সব খুলে দিলাম। আমরা কী-কী করছি, সব দেখো।”