অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক এবং অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ তাদের সম্পর্কের কথা বেমালুম অস্বীকার করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই হাঁটুর বয়সি অভিনেত্রীর সঙ্গেই প্রেম-ভালবাসা করে এবং বিয়ে করেন কাঞ্চন।২০২০ সালের লোকডাউনের সময় যখন চারিদিক শান্ত এবং করোনার ভয় সবার মনে, ঠিক ওই সময় একটা সুখের সংসারে আগুন লাগে। খবরের হেডলাইন হয়ে উঠলো ওই পরিবার এর কথা। অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক (তখনও উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক হননি) উঠে এলেন খবরের হেডলাইনে। তিনি নাকি এক হাঁটুর বয়সি অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছেন এবং সেই প্রেম অনেক দূর এগিয়েছে। এ পর্যন্ত ঠিক ছিল। কোনো মানুষ তার জীবনে কি করবেন আর কি করছেন তা যার পুরো বেক্তিগত বিষয়। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায় হয়। কাঞ্চন তখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী পাঙ্কি বন্দ্যোপাধ্য়ের সঙ্গে সংসার করছেন এবং তার একটি পুত্র সন্তান আছে। এই নিয়ে তুলকালাম চারদিকে। এই প্রেমের কথা প্রকাশ্যে আসার পর পিঙ্কি রুদ্র রূপ ধারণ করেন। কাঞ্চনকে এবং সেই অল্প বয়সি অভিনেত্রীর সম্পর্ককে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। নিয়ে এসেছিলেন লোকসমাজের নজরে। বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন কাঞ্চন এবং সেই অভিনেত্রী। পরবর্তীতে কাঞ্চন এবং সেই হাঁটুর বয়সি অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ এখন বিবাহিত (আইনি বিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সাল)। তার ৩৪ দিন আগে পিঙ্কিকে ডিভোর্স (ডিভোর্সের তারিখ ১০ জানুয়ারি, ২০২৪) দেন কাঞ্চন।
১৪ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রি বিয়ে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি সেই আইনি বিয়ের ছবি নেটপারে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তারা। তারপর থেকে অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে নানা ধরনের কটূক্তি, ব্যঙ্গক্তি করতে শুরু করেন নেটিজেনরা। ব্যঙ্গের বিষয় ছিল অনেকগুলি। কাঞ্চনের চেহারা নিয়ে, বয়স নিয়ে কীভাবে কাঞ্চনের মতো এক পুরুষ তিনটে বিয়ে করতে পারেন।এসব দেখে শুনে কাঞ্চনের দ্বিতীয় (এখন ডিভোর্সি) স্ত্রী পিঙ্কি এবং তাঁর পুত্র ওশ (কাঞ্চনের একমাত্র সন্তান) তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। পিঙ্কি বলেছেন, “আমার ভাল লাগছে এটা ভেবে যে, শেষমেশ দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি একে-অপরকে স্বীকার করেছেন এবং বিষয়টাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা খুব দরকার ছিল। আমি আশা করি কাঞ্চন এই বিয়েটায় যেন সুখী হয়।” ওশ তাঁর মা পিঙ্কিকে বলেছেন, “বাবাকে ব্লেস (আশীর্বাদ) করো।”