অভিনেতা ভাস্বরের বিরুদ্ধে উঠল  ‘বউ-পেটানো’র অভিযোগ

এক সংবাদের মাধ্যমে অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়  বলেছেন, “আমার প্রথম স্ত্রীর নাম প্লাবনী মুখোপাধ্য়ায়। সেই সময় আমি সবে মাত্র অভিনয় করতে শুরু করেছিলাম ইন্ডাস্ট্রিতে। আমার বিয়ের ব্যবস্থা করে বাড়ির লোক। সম্বন্ধ করে বিয়ে ঠিক হয় প্লাবনীর সঙ্গে।”কে প্লাবনী? অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। মাত্র দু’মাস সংসার করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ভাস্বরের সঙ্গে সংসার করতে চাননি তিনি। তেমনটাই দাবী ভাস্বরের। কিন্তু সেই ছাদনাতলা যাওয়াই কাল হয়েছিল অভিনেতার।

প্লাবনী হঠাৎ করে ৪৯৮ ধারায় অভিযুক্ত করেন ভাস্বরকে। ‘বউ পেটানো’র তকমা জোটে নায়কের গায়ে। সেই যন্ত্রণা আজও বয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে  ৪৯ বছর বয়সেও অভিনেতাকে। বলেছেন, “প্লাবনীর একটা সম্পর্ক ছিল। সেই ছেলেটির সঙ্গেও ও থাকতে চাইত। কিন্তু আমার সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায়। ওর বাড়ির লোকজনের কাছে আমার পরিচয় ছিল ভাল ছেলে। সেই ভাল ছেলের গায়ে বউ পেটানোর তকমা না দিলে তো ও নিস্তার পেত না বিয়েটা থেকে। আমাকে মিথ্যে জালে ফাঁসালো। ৪৯৮ দিল। এই অপরাধের জন্য আমি ওকে কোনওদিনও ক্ষমা করতে পারব না জানেন। বিশ্রী ব্যাপার ঘটিয়েছিলেন তিনি।”

ভাস্বরকে ‘বউ পেটানো’র তকমার কারণে অনেক হেনস্থা হতে হয়েছে। তাঁকে অনেক জায়গায় অনেক কটূক্তি শুনতে হয়েছে। লোকে বলেছেন, “এমন সুপুরুষ চেহারা, কিন্তু বউ পেটায়। এই জন্যই বলে–বইয়ের মলাট দেখে কাউকে বিচার করা উচিত না।” বেশ কিছু বছর ভাস্বর সেই সব কিছু সহ্য করেছেন মুখ বুজে। কিন্তু তিনি যে নিরপরাধ, সেটাও প্রমাণও করতে পেরেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *