অভিষেকের পর এবার টলিউডের দাদা ও দিদিকে নিয়ে বোমা ফাটালেন শ্রীলেখা

গত ২৪শে মার্চ না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তবে বছর দুয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক দাবি করেছিলেন, তোদের খুব প্রিয় দাদা আর দিদি, টপ হিরো আর টপ হিরোইন, তারা দুজন জোট বেঁধে  আমার সাইন করা ১২ থেকে ১৪ খানা ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আর এবার সেই  দাদা ও দিদির আসল মুখ সামনে আনলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের একসময়ের অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

শ্রীলেখা এক সংবাদমাধ্যমে  লিখেছেন, আমি যাঁদের নিয়ে আজ লিখছি, তাঁরা কিন্তু কেবল দাদা, দিদিতে সীমিত নেই। পর পর দুটি ছবি হিট করে গেলেই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ক্ষমতার আসনে বসেন। আর তার পর ক্ষমতার দেখনদারি শুরু হয়। সমস্ত প্রভাবশালী মানুষকে নিয়েই আমার এই লেখা। আর বারবার শ্রীলেখা মিত্র সকলের নাম নেবে কেন? যাঁদের কথা বলছি, তাঁরা তো অন্তত বুঝবেন। আর কী চাই? সেই মানুষগুলি বারবার বলেন, আমরা ইন্ডাস্ট্রির মুখ, আমরাই বাংলা ছবিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। হাল ধরেছি। তাঁদের মনে করাতে চাই, কেউ বিনামূল্যে কাজ করেননি। প্রযোজকের কাছ থেকে টাকা পেয়েছেন বলেই একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তা ছাড়া সবই তো এখানে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর নির্ভর করে। এ ভাবে মিঠুদার কাছ থেকেও কি কম ছবি হাতছাড়া হয়েছে? ইন্ডাস্ট্রির দিদির সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পরে লোকে ভুলেই গেল অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে। দিদির জীবনে তখন দাদার প্রবেশ ঘটল। দাদা যা-ই সিনেমা করেন না কেন, তাতে দিদিকে নায়িকা হিসেবে চাই-ই চাই। আমাকেও একাধিক ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দাদার সঙ্গে একটি ছবি সুপারহিট হওয়ার পরেও দাদা আর আমাকে কাজে ডাকেননি।  শ্রীলেখা আরও জানিয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রির দাদা, দিদিকে দেখে বুঝি, মানুষ বড়ই আমিময়। তাঁদের ধারণা, ৯০- এর দশকেও তাঁরা তারকা, ২০২২-এ এসেও তাঁরা তারকা। কিন্তু আসলে তা নয়। এখনও এক জন ভাবেন, তাঁর বাড়িতে খাবার না পৌঁছলে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে নালিশ করতে হবে। আর এক জনের দাবি, তিনি দেরি করে বিমানবন্দরে পৌঁছলেও বিমান তাঁর জন্য অপেক্ষা করবে। তাই আজ যখন সেই মানুষেরা এসে বলেন, তাঁরা এক সময়ে মিঠুদার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তখন মানবজাতির কথা ভেবে লজ্জা বোধ করি। যাঁরা লোকের কাজ কেড়ে নেন, তাঁরা টাকার অঙ্ক দেখাচ্ছেন? এ সমস্তই মিথ্যে। চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *