অনুপম জানান, তাঁকে এক সময়ে অবসাদ গ্রাস করেছিল। দীর্ঘ ৩ বছর তিনি অবসাদের মধ্যে ছিলেন। ৮ বছর আগে এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন, যখন দু’চোখের পাতা এক হত না রাতে। ঘুম আসত না দিনের পর দিন। জোরালো আলোর নীচে শুটিং করলে চোখ দিয়ে জল পড়ত। আবার কখনও চোখ শুকিয়ে আসত।
অনুপম প্রথমে চিকিৎসকের কথা মেনে নিতে চাননি। বলেছিলেন, ‘‘কী বলছেন আপনি? আমি জীবন নিয়ে একটি বই লিখেছি আর আমার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন? আমি আমার লেখার মাধ্যমে মানুষকে সারিয়ে তুলছি। আমার বইটা পড়ুন।’’ সেই সময়ে অনুপমের লেখা বই ‘দ্য বেস্ট থিং অ্যাবাউট ইউ ইজ় ইউ!’ মুক্তি পেয়েছিল।
চিকিৎসক স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘‘ঘুম না আসার কারণ চোখ নয়, আপনার মন।’’ অভিনেতা অবশেষে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। সেই বিশেষজ্ঞ নিজের কিছু সমস্যাও অনুপমের সঙ্গে ভাগ করে নেন। অভিনেতা সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন। দু’জনের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা হয়। সমস্যা সমাধানের জন্য নিজের লেখা বইটি পড়ারও পরামর্শ দেন তিনি। তার পরেই সেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনুপমকে ওষুধ লিখে দেন এবং জানান অভিনেতা ‘ম্যানিক-ডিপ্রেশন’-এ আক্রান্ত। চিকিৎসক বলেন, ‘‘সব বিষয়ে আপনি অতিরিক্ত আশাবাদী আর এটাই আপনার অবসাদ। আপনি জোর করে আশাবাদী হন।’’
নিজের ভিতর চলা সমস্যাগুলিকে শনাক্ত করতে পারেন অনুপম এবং মাস খানেক ওষুধ খান। অভিনেতা অবশেষে অসুস্থতা কাটিয়ে ওঠেন। অনুপম বলছেন, ‘‘অনুপম খের হওয়ার বা ৫৪০টি ছবি করার বোঝা আমি নিজের কাঁধে নিই না। অনুপম খের হওয়ার বোঝা খুব ভারী। তাই আমি গুরুত্ব দিই না। তাই একাকিত্ববোধ নিয়ে বিলাসিতা করা উচিত নয়।’’