মৃত্যুবার্ষিকীতে পেলেন বড় শ্রদ্ধার্ঘ্য

বছর ঘুরতে চললো তার প্রয়াণ দিবস। অবশেষে চলতি বছর তার মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা হল তাঁর বায়োপিকের। গত বছর বলিউডের ডান্সিং জগতে অভিভাবকহীন করে চলে গিয়েছিলেন সরোজ খান। চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন বলিউডের প্রিয় মাস্টারজি। এই কিংবদন্তি কোরিওগ্রাফারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে মাস্টারজির বায়োপিকের ঘোষণা সারল প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজ। মৃত্যুবার্ষিকীতে বলিউড কোরিওগ্রাফারকে অভিনব শ্রদ্ধার্ঘ্য দিলেন টি-সিরিজ। ইতিমধ্যেই সরোজ খানের দুই সন্তান রাজু, সুকাইনা এবং দুই নাতনির (প্রয়াত কন্য হিনা খানের সন্তান) কাছ থেকে প্রয়াত কোরিওগ্রাফারের জীবনকাহিনি রুপোলি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার অনুমতি নিয়েছেন প্রযোজক ভূষণ কুমার। সরোজ খানকে ভারতের প্রথম মহিলা কোরিওগ্রাফার হিসাবে চিহ্নিত করে ভূষণ কুমার জানান, তাঁর জীবনী পর্দায় তুলে ধরাটা টি-সিরিজের জন্য গর্বের বিষয়।

শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিত, জুহি চাওলা, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের মতো একাধিক জনপ্রিয় নায়িকার নৃত্যছন্দ যখন আসমুদ্র হিমাচল দুলিয়েছিল, তার নেপথ্য কিন্তু এই মানুষটিই ছিলেন- ‘নাচের রানি’। যাঁর কাছ থেকে তালিম নিয়ে বলিউডের নায়িকারা ক্যামেরার সামনে দুর্ধর্ষ পারফর্ম্যান্সে দর্শকদের মন মাতাতেন। সরোজ খানের আসল নাম নির্মলা নাগপাল। জন্ম ১৯৪৮-এর ২২ নভেম্বর। হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মাত্র তিন বছর বয়সে। ‘গীতা মেরা নাম ’ (১৯৭৮) সিনেমার মাধ্যমে একজন স্বতন্ত্র কোরিওগ্রাফার হিসাবে প্রথম ব্রেক পান সরোজ । এরপর থেকেই তাঁর কোরিওগ্রাফি পরিচালকদের মন জয় করতে থাকে, ডাক পান নতুন নতুন ছবিতে। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অজস্র সম্মান, কিন্তু সর্বোপরি তিনি ঘর করে রয়েছেন কোটি কোটি হিন্দি সিনেপ্রেমীর হৃদয়ে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *