এবার পূজোর ছুটি কাটান দার্জিলিংয়ের চা বাগানে

অনেকেরই হয়তো পুজোর ছুটিতে সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।কিন্তু ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে সিকিম ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে। কিন্তু নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর পর্যন্ত টিকিট কনফার্ম রয়েছে। সে টিকিট আপাতত বাতিল না করে দার্জিলিংয়ের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা চা বাগানে রাত কাটাতে যেতে পারেন। এমনই ৩টি জায়গার খোঁজ রইলো আপনার জন্য।

মকাইবাড়ি চা বাগান, ১৮৫৯ সালে তৈরি হয় এই চা বাগান।চা বাগান ছাড়াও আশেপাশের জঙ্গল ও বন্যপ্রাণী এই অঞ্চলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি জলপ্রাত। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটারের পথ মকাইবাড়ি। “রঙ্গারুন টি এস্টেট,” এ বছর দার্জিলিং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রঙ্গারুন চা বাগানে ছুটি কাটাতে পারেন। প্রায় ৫০ হেক্টর জমি নিয়ে বিস্তৃত এই চা বাগাণ।৬,০০০ ফিট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে রঙ্গারুনের পাশেই রয়েছে সিঞ্চল স্যাংচুয়ারি। সামনে তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা, নিচে সবুজে ঘেরা চা বাগান আর পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে রংডং নদী। এখানে রাত কাটানোর জন্য হোমস্টে পরিষেবা পেয়ে যাবেন।

এছাড়াও যেতে পারেন, মিম চা বাগানে।লেপচাজগত ও সুকিয়াপোখরির ঠিক মধ্যিখানে অবস্থিত মিম চা বাগান। এছাড়াও বাগানে ঘুরতে গিয়ে দেখা যেতে পারে হরিণ সহ অন্যান্য বন্যজন্তুর।চা বাগানের উপরে রয়েছে একটি মনাস্ট্রি। আর নিচে রয়েছে খরস্রোতা নদী।নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এটির দূরত্ব প্রায়৮৫ কিলোমিটার।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *